প্রায় ছয়মাস বন্ধ থাকার পর যশোরের তিনটি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আবার আসতে শুরু করেছে। ফলে আগামী ঈদুল আযহার কোরবানীর হাটে ভারতীয় গরু না পাওয়ার আশংকা অনেকটাই কেটে যাচ্ছে। তবে করিডোর বন্ধ থাকায় এক বছর ধরে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে পশু আসা এখনো বন্ধ।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ এর কড়া নজরদারির কারণে গত জুন পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে গরু আসা কার্যত: বন্ধ ছিল। ফলে সীমান্ত হাট-গুলোতেও ভারতীয় গরু কমে যায়। কিন্তু কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে যশোরের ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হয়ে ভারতীয় পশু আনার বিষয়ে বিশেষ সমঝোতা করেছে। এ কারণে যশোরের বেনাপোলের পুটখালি, অগ্রভূলট আর শার্শা গোগা সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ আসতে শুরু করেছে। গোগা সীমান্ত খুলেছে রোববার। ফলে সীমান্তের পুটখালি, অগ্রভুলট আর সাতমাইলের হাটও এখন জমজমাট।
শুল্ক কর্তৃপক্ষ নজরুল ইসলামের হিসেব অনুযায়ী, যশোরের তিন সীমান্ত খোলার সাথে সাথে ভারতীয় গরু-মহিষ আসা বাড়ছে। তবে এখনও তা আগের পর্যায়ে আসেনি। আগে গড়ে দিনে হাজার সাড়ে তিন থেকে চার হাজার পশু এলেও এখন আসছে এক থেকে দেড় হাজার।
ঈদ ঘনিয়ে এলে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু আসা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। তবে তারা বরাবরের মতো এবারও পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া আর চাঁদাবাজির বিড়ম্বনার অভিযোগ করেছেন।
তবে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে কাটাতারের বেড়া আর বিজিবি-বিএসএফ এর কড়া নজরদারির কারণে ভারতীয় পশু আসা প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ। ঈদের আগে তা খোলার সম্ভবনা কম বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন