বিভিন্ন দল ও মহলের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে পুলিশের আইজি শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশের জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দিলে সেখানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের ক্রসফায়ারে হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজু মিয়া, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাগুরায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান ওরফে আজিবর শেখ এবং কুষ্টিয়ায় যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন নিহত হন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতর আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
রোববার সকালে আরজু নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই।
আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কেনো ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটছে, মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন ছিলো আইজিপির কাছে।
এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, পুলিশ হুমকির মুখে পড়লে বা তার জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দিলে অনেক সময় বন্দুকযুদ্ধ হয়। ওই বন্দুকযুদ্ধে কারো মৃত্যু হলে সেটাও একটি আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে ঘটে। এর কারণে পুলিশকেও জবাবদিহি করতে হয়।
তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়ন এবং মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, সন্ত্রাসী বা অপরাধী দমনে সে কোনো দলের তা বিবেচনা করা হচ্ছে না। সন্ত্রসী ও অপরাধীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল ও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়। তারা যদি জননিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়, তাদের ব্যাপারে রয়েছে জিরো টলারেন্স।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক জানান, ব্লগার হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সব ধরণের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন