Top Menu

Beauty

Breaking News

মিয়ানমারের সুচি এখন পৃথিবীর শীর্ষ জুলুমবাজ নোবেল বিজয়ী তালিকায় শ্রেষ্ঠ জুলুমবাজ !! পৃথিবীর সমস্ত বিশ্ব রেকর্ডধারী জুলুম, নির্যাতন,শোষন, নিপীড়নকে হার মানিয়ে দিল।

রাজধানীর জুরাইনে নেশার টাকা না দেওয়ায় মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা খুন



Computer Hope guy holding CH logo
Computer Hope guyComputer Hope

রাজধানীর বাজার: কাঁচামরিচের কেজি ১৫০ টাকা

দেশে পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাপণ্যের ঊর্ধ্বগতি থামছেই না। দুই দিন আগেও রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মঙ্গলবার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়ছে সমানতালে।
মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। 
রাজধানীর কাপ্তান বাজার, সেগুন বাগিচা, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি গাজর ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, শশা ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, করলা ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, ঝিঙা ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, বেগুন ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, গোল বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, পটল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, কাকরল ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, ভেন্ডি ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, ওস্তা ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, পেঁপেঁ ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকায়, দোন্দল ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, আলু ২৫ টাকা থেকে ২৬ টাকায়, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, পাইকারী বাজারে দাম বাড়তি তাই তারা কম দামে জিনিস বিক্রি করতে পারছে না। সরকারের উচিত পাইকারী বাজার মনিটরিং করা। 
তারা মনে করেন, পণ্য মজুদ রেখে যাতে দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা উচিত। 
সেগুন বাগিচা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল বারেক বলেন, ‘কারওয়ান বাজার থেকে পণ্য কেনার পর তা সামান্য সময়ের জন্য রাখতে দিতে হয় ৫০ টাকা, এরপর সেখান থেকে কোনো পণ্যের বস্তা বাজারে আনতে দিতে হয় ৩০০ টাকা। এরপর আবার নিজেদের খরচ। সব মিলিয়ে পণ্য কেনার পর বাজারে আনতে আমাদের প্রতিকেজি পণ্যে খরচ পড়ে ২ থেকে ৩ টাকা। এরপর আমরা সামান্য লাভে পণ্য বিক্রি করি। আমরা তো আর মজুদ করতে পারি না। তাই দিনে এনে দিনে বিক্রি করি। এতে পাইকারী বাজারে দাম বাড়তি থাকলে আমাদের সমন্বয় করে বিক্রি করতে হয়।’  
এদিকে পাইকারীবাজারে মানভেদে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচামরিচ ৬৬০ টাকা থেকে ৬৭০ টাকায়, গাজর ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকায়, শশা ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়, করলা ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকায়, ঝিঙা ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকায়, বেগুন ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়, পটল ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়, কাকরল ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায়, ভেন্ডি ২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, ওস্তা ২৬৫ টাকা থেকে ২৮০ টাকায়, চিচিঙ্গা ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকায়, পেঁপেঁ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, দোন্দল ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়, টমেটো ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 
পাইকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা দেশে বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হয়েছে তাই পণ্যের দর বাড়তি বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ভারতে বন্যায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। তাই সে দেশে পেঁয়াজের দর বাড়তি। আর এই অযুহাতেই দেশের পেঁয়াজের দর বেড়েছে বলে জানান তারা। 
কারওরান বাজারের কাঁচাবাজার আড়তের পাইকারী ব্যবসায়ী শরীয়তপুর ট্রেডার্সের সত্তাধিকারী হারুন পাটওয়ারী জানান, দেশের বৃষ্টির কারণে ঈদের পর থেকে পণ্যের দর বাড়তি। যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা তো রাতারাতি পোষাণো যাবে না। তাই বাজারে পণ্যে দর বাড়তি বলে জানান তিনি। পণ্যের বাজার স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বাজারে ডিম, ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম (সাদা) ১৭০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি (লাল) ১৮৫ টাকা থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ

Designed by OddThemes | Distributed By Gooyaabi Templates