মাদক মামলায় গ্রেফতার অতঃপর কারাভোগের ৭ দিনের মাথায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরহাদ হোসেনের (৪৫) মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করেছে তার পরিবার। পরিবারের দাবি, ফরহাদের বিরুদ্ধে মাদকের যে মামলা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার ঘরের আসবাবপত্র বলতে মাত্র একটি খাট। মাদকের ব্যবসা করলে তো তিনি আরো বিত্তশালী হতেন।
বাড্ডার আদর্শ নগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গামাসহ ৪ খুনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সরাসরি নয় জোর করে মাদকের মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও দাবি পরিবারের। গত ১৩ আগস্ট বাড্ডার আদর্শ নগরে এই ৪ খুনের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশের বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল জলিল মিথ্যা মামলার দায়েরের বিষয়টি অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ১৮ আগস্ট রাত ১০টায় বাড্ডা প্রগতি সরণীর অফিস থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে ৬২ পিস ইয়াবা, ১৩ ফেন্সিডিল, ২৩ ফেন্সিডিলের খালি বোতল জব্দ করা হয়। সেদিন রাতেই তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন আদালতের কাছে রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে জিজ্ঞাবাদের অনুমতি দেয়।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জাগো নিউজকে জানান, কারাগারে আসার পর থেকেই ফরহাদ হোসেন কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। সকালে (বুধবার) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে ঢামেক হাসপাতালে পাঠালে সকাল ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। হয়তো হৃদরোগ থেকে তার মৃত্যু হতে পারে।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মোজাম্মেল জাগো নিউজকে জানান, আসামি ঢামেকে আসার পূর্বেই মারা যায়। তাই ময়নাতদন্ত ও বিষেরা পরীক্ষার আগে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়। ফরহাদের মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার মরহেদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।
ফরহাদ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি গুলশান থানার ছাত্রলীগ সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন