 নয়াদিল্লি, ২৯ আগষ্ট- ভারতের গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষিত এক ধর্ষণের ‘সাজা’র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সেদেশের মানুষ। দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবক আর উচ্চবর্ণের এক বিবাহিত নারীর পালিয়ে যাবার ঘটনায় ওই যুবকের দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সিদ্ধান্ত দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। ঘটনাটি উঠে আসে হাফিনটন পোস্ট, মিরর-সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। আর এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে এরইমধ্যে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। দলিত বা অচ্ছুৎ সম্প্রদায়ের এক যুবক উচ্চবর্ণের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জোর করে ওই মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুলিশও ওই পরিবারের ওপর নির্যাতন শুরু করে। উপায়ান্তর না দেখে ওই যুবক গত মার্চে আবার বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এরপর পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয় যে ভাইয়ের কথিত অপরাধের জন্য তার পরিবারের ওপর ‘প্রতিশোধ’ নেয়া হবে। ভাইয়ের এই ‘পরকীয়া’র ‘সাজা’ হিসেবে তার দুই বোনকে ধর্ষণের পর মুখে কালি মাখিয়ে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর সিদ্ধান্তও দেয় পঞ্চায়েত। ওই দুই বোনের একজনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নামের পরিষদের সব সদস্যই পুরুষ। ওই সাজা ঘোষণার পর দুই বোন পালিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে তাদের রক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠদের নিয়ে পঞ্চায়েত গঠিত হয়। ভারতের আইনি কাঠামোর বাইরে পঞ্চায়েত এ ধরনের আদালত পরিচালনা করে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য পঞ্চায়েত আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে মন্তব্য করে একে সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। তারপরও ভারতে হরহামেশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এমন সাজা প্রয়োগ করে থাকে। এ ঘটনার পর অ্যামনেস্টি ইউকে’র একজন সমন্বয়ক রাসেল আলকক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর-কে বলেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে এইসব কথিত আদালত সাজার নামে নারীর উপর যৌন সহিংসতা প্রয়োগ করে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’
নয়াদিল্লি, ২৯ আগষ্ট- ভারতের গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষিত এক ধর্ষণের ‘সাজা’র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সেদেশের মানুষ। দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবক আর উচ্চবর্ণের এক বিবাহিত নারীর পালিয়ে যাবার ঘটনায় ওই যুবকের দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সিদ্ধান্ত দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। ঘটনাটি উঠে আসে হাফিনটন পোস্ট, মিরর-সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। আর এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে এরইমধ্যে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। দলিত বা অচ্ছুৎ সম্প্রদায়ের এক যুবক উচ্চবর্ণের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জোর করে ওই মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুলিশও ওই পরিবারের ওপর নির্যাতন শুরু করে। উপায়ান্তর না দেখে ওই যুবক গত মার্চে আবার বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এরপর পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয় যে ভাইয়ের কথিত অপরাধের জন্য তার পরিবারের ওপর ‘প্রতিশোধ’ নেয়া হবে। ভাইয়ের এই ‘পরকীয়া’র ‘সাজা’ হিসেবে তার দুই বোনকে ধর্ষণের পর মুখে কালি মাখিয়ে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর সিদ্ধান্তও দেয় পঞ্চায়েত। ওই দুই বোনের একজনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নামের পরিষদের সব সদস্যই পুরুষ। ওই সাজা ঘোষণার পর দুই বোন পালিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে তাদের রক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠদের নিয়ে পঞ্চায়েত গঠিত হয়। ভারতের আইনি কাঠামোর বাইরে পঞ্চায়েত এ ধরনের আদালত পরিচালনা করে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য পঞ্চায়েত আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে মন্তব্য করে একে সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। তারপরও ভারতে হরহামেশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এমন সাজা প্রয়োগ করে থাকে। এ ঘটনার পর অ্যামনেস্টি ইউকে’র একজন সমন্বয়ক রাসেল আলকক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর-কে বলেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে এইসব কথিত আদালত সাজার নামে নারীর উপর যৌন সহিংসতা প্রয়োগ করে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’ Home Unlabelled দুই বোনকে ধর্ষণের রায় দিলো পঞ্চায়েত, ভারতজুড়ে তোলপাড়: অ্যামনেস্টির পিটিশন
দুই বোনকে ধর্ষণের রায় দিলো পঞ্চায়েত, ভারতজুড়ে তোলপাড়: অ্যামনেস্টির পিটিশন
By Unknown At রবিবার, আগস্ট ৩০, ২০১৫ 0
 নয়াদিল্লি, ২৯ আগষ্ট- ভারতের গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষিত এক ধর্ষণের ‘সাজা’র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সেদেশের মানুষ। দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবক আর উচ্চবর্ণের এক বিবাহিত নারীর পালিয়ে যাবার ঘটনায় ওই যুবকের দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সিদ্ধান্ত দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। ঘটনাটি উঠে আসে হাফিনটন পোস্ট, মিরর-সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। আর এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে এরইমধ্যে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। দলিত বা অচ্ছুৎ সম্প্রদায়ের এক যুবক উচ্চবর্ণের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জোর করে ওই মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুলিশও ওই পরিবারের ওপর নির্যাতন শুরু করে। উপায়ান্তর না দেখে ওই যুবক গত মার্চে আবার বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এরপর পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয় যে ভাইয়ের কথিত অপরাধের জন্য তার পরিবারের ওপর ‘প্রতিশোধ’ নেয়া হবে। ভাইয়ের এই ‘পরকীয়া’র ‘সাজা’ হিসেবে তার দুই বোনকে ধর্ষণের পর মুখে কালি মাখিয়ে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর সিদ্ধান্তও দেয় পঞ্চায়েত। ওই দুই বোনের একজনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নামের পরিষদের সব সদস্যই পুরুষ। ওই সাজা ঘোষণার পর দুই বোন পালিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে তাদের রক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠদের নিয়ে পঞ্চায়েত গঠিত হয়। ভারতের আইনি কাঠামোর বাইরে পঞ্চায়েত এ ধরনের আদালত পরিচালনা করে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য পঞ্চায়েত আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে মন্তব্য করে একে সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। তারপরও ভারতে হরহামেশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এমন সাজা প্রয়োগ করে থাকে। এ ঘটনার পর অ্যামনেস্টি ইউকে’র একজন সমন্বয়ক রাসেল আলকক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর-কে বলেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে এইসব কথিত আদালত সাজার নামে নারীর উপর যৌন সহিংসতা প্রয়োগ করে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’
নয়াদিল্লি, ২৯ আগষ্ট- ভারতের গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষিত এক ধর্ষণের ‘সাজা’র বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সেদেশের মানুষ। দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবক আর উচ্চবর্ণের এক বিবাহিত নারীর পালিয়ে যাবার ঘটনায় ওই যুবকের দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সিদ্ধান্ত দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। ঘটনাটি উঠে আসে হাফিনটন পোস্ট, মিরর-সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। আর এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে এরইমধ্যে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টির এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। দলিত বা অচ্ছুৎ সম্প্রদায়ের এক যুবক উচ্চবর্ণের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জোর করে ওই মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুলিশও ওই পরিবারের ওপর নির্যাতন শুরু করে। উপায়ান্তর না দেখে ওই যুবক গত মার্চে আবার বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এরপর পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয় যে ভাইয়ের কথিত অপরাধের জন্য তার পরিবারের ওপর ‘প্রতিশোধ’ নেয়া হবে। ভাইয়ের এই ‘পরকীয়া’র ‘সাজা’ হিসেবে তার দুই বোনকে ধর্ষণের পর মুখে কালি মাখিয়ে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর সিদ্ধান্তও দেয় পঞ্চায়েত। ওই দুই বোনের একজনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নামের পরিষদের সব সদস্যই পুরুষ। ওই সাজা ঘোষণার পর দুই বোন পালিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে তাদের রক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠদের নিয়ে পঞ্চায়েত গঠিত হয়। ভারতের আইনি কাঠামোর বাইরে পঞ্চায়েত এ ধরনের আদালত পরিচালনা করে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য পঞ্চায়েত আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে মন্তব্য করে একে সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করেছে। তারপরও ভারতে হরহামেশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এমন সাজা প্রয়োগ করে থাকে। এ ঘটনার পর অ্যামনেস্টি ইউকে’র একজন সমন্বয়ক রাসেল আলকক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর-কে বলেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে এইসব কথিত আদালত সাজার নামে নারীর উপর যৌন সহিংসতা প্রয়োগ করে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’ 
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
                        (
                        Atom
                        )
                      
 
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন