গরুর সংখ্যা যখন ২ হাজারের অধিক আর গোয়াল ঘর থেকে চারনভূমির দূরত্ব যখন ৫০ কিলোমিটার, তখন সেই গরু চরাতে তো হেলিকপ্টার লাগবেই। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, বিবিসি ওয়ানের ভিডিও প্রতিবেদনে উঠে আসা অষ্ট্রেলিয়ার ঐ বিশাল আকারের র্যান্চে গবাদি পশুর সংখ্যা ৩ কোটি (৩০ মিলিয়ন) ।
আর এই বিশাল সংখ্যক পশুদের চরাতে ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টার। কারন র্যান্চ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের চারনভূমিতে নিয়ে যাওয়া তাদের। হেঁটে চরাতে হলে এই ২০০০ গরুকে নিয়ে যেতে এই মাসেরও অধিক সময় লেগে যাওয়াই স্বাভাবিক, কিন্তু হেলিকপ্টারের সাহায্যে মাত্র ৫ দিনেই তা সম্ভব।
তবে এই গরু চরাতে গিয়ে যে দূর্ঘটনা ঘটে না তা কিন্তু নয়, অষ্ট্রেলিয়ার প্রতিবছর গড়ে ১০ জন দক্ষ পাইলট রাখাল হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের শিকার হয়। ৫০ কিলোমিটার দূর থেকে তাড়িয়ে আনার পর রাঞ্চের ৮ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আসার পর ভূমি রাখালরা এসে যোগ দেয়, বাকি পথটি তাড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য।
এই বিশাল গরুর পাল তাড়িয়ে নিয়ে যাবার দৃশ্য দেখে মনে হবে, এরা যেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে মাইগ্রেশন করছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন